ঘটনাটা ইয়েমেনের বিপক্ষে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি করায় ডাগআউটে গিয়ে মেজাজ হারান ইতালিপ্রবাসী ফাহমিদুল ইসলাম। তাঁর আচরণটা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। অনূর্ধ্ব-২৩ দলে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ফাহমিদুলের ইস্যুসহ বাছাইপর্বে পুরো বিষয়টি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান। কোচিং স্টাফদের ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। ডিসিপ্লিন ইস্যু নিয়েও সোচ্চার তাবিথ।
সম্প্রতি ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত যুব এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাজে পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি তারা। পরের ম্যাচে ইয়েমেনের কাছে হেরেছে ১০ জন নিয়ে। শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে হারালেও মূল পর্বে খেলার টিকিট কাটতে পারেননি তারা। বাছাইয়ে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ডিসিপ্লিনের বিষয়টিও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যানেজার শাহীন হাসান সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘নিজেকে হামজা মনে করলে বিপদ। দলে কেউ অটোমেটিক চয়েস নয়। ডিসিপ্লিন সবার আগে। একজনের কারণে অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তা দেশি বা প্রবাসী হোক না কেন, ফাহমিদুল তার শাস্তি পেয়েছে। সে পরে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। আশা করছি, সামনের দিকে আর কোনো সমস্যা হবে না।’
ম্যানেজার নিজে সেই সফর নিয়ে আলাদা রিপোর্ট দিতে যাচ্ছেন। সেখানে সবকিছু তুলে ধরার অঙ্গীকার তাঁর, ‘আমি ওখানে কী হয়েছে, কেন দল ব্যর্থ হলো, আমাদের পরবর্তী করণীয় কী সব উল্লেখ করব। সভাপতি মহোদয় আমাকে এগিয়ে যেতে বলেছেন, যেন সামনের দিকে সমস্যা না হয়, দল ভালো খেলতে পারে।’