উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র গাড়ীর চালক, রেলওয়েতে চাকুরীসহ বিভিন্ন পদে চাকুরী দেওয়ার নামে পাংশা উপজেলার ৮-১০ জন বেকার যুবকের পরিবার থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের আত্তাব বিশ্বাসের ছেলে মোঃ রঞ্জু বিশ্বাস নামের এক প্রতারক। এ বিষয়ে উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বনগ্রামের বাসিন্দা বেকার যুবক চাকুরী প্রার্থী মোঃ শান্ত হোসেন পাংশা মডেল থানায় ও সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও ভ’ক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে- প্রতারক রঞ্জু বিশ্বাস নিজেকে বিভিন্ন সময় সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের নিকট হতাশা গ্রস্থ যুবকদের সরকারী চাকুরী দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছে, সম্প্রতি পাংশায় ২/১ বার তাকে দেখা গেলেও মোবাইল ফোন বদল করায় তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান ক্ষতিগ্রস্থরা।
” চাকুরী প্রার্থী শান্ত হোসেনের ফোনে একটি এসএমএস করে ওই প্রতারক জানান ঝিনাইদাহ জেলা শৈলক’পা উপজেলা টিএনও সুষমিতার ড্রাইভার হিসেবে আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেতন-২২,৩০০টাকা, ১০/০৭/২০২৫ ইং এসে আপনি জয়েন্ট করবেন”। যা ছিল সম্পূন্য ভ’য়া ও বানোয়াট, একজন অধ্যক্ষ প্রতারকের ফাঁদে বেশ কয়েক জন যুবক সর্বশান্ত হয়ে গেছে। ওই ক্ষুদে বার্তায় ইউএনও কে টিএনও বলা, একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র নাম এভাবে বলা এসব প্রতারণার কৌশল ছিল। প্রতারক ও প্রার্থীরা উভয় অশিক্ষিত ও মূর্খতার প্রকাশ পায় এ ক্ষুদে বার্তায়।
বুধবার হাবাসপুর গ্রামে গিয়ে জানাযায় রঞ্জু বিশ্বাস একজন প্রতারক সে তেমন কিছুই করে না, দির্ঘদিন ধরে এলাকায় থাকেন না, পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার খোকসাতে বাসা ভাড়া করে থাকত। খোজ নিয়ে জানাযায় সেখান থেকেও কিছুদিন আগে চলে গেছে কোথায় আছে এমন সংবাদ কেউ দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে রঞ্জুর গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে পাওয়া যায়নি,তার দেওয়া মুঠোফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে এ কাজে তার স্ত্রী ও মেয়ের জামাই সহায়তা করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পাংশা থানার এস আই রাজু বলেন এমন একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।