কুড়িগ্রামে আলু চাষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। একদিকে আলু চাষে উৎপাদন ব্যায় বেশি অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ভাড়া বৃদ্ধি করায় করে ক্ষতির মুখে পড়েছে আলু চাষীরা। প্রতিবাদ জানাতে মহাসড়কে আলু ঢেলে সড়ক অবরোধ করেছেন আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা। এসময় মহাসড়কে তিন ঘন্টা ব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার কাঁঠাল বাড়ি বাজারে মহাসড়ক অবরোধে অংশ নেন কর্মসূচী বাস্তবায়ন কমিটি কুড়িগ্রাম জেলার শত শত আলু চাষী। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আগামীকাল পর্যন্ত অবরোধ তুলে নেন চাষিরা।
আলু চাষিরা জানান, আলুর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ২২ টাকা আর প্রতি ৭০ কেজি বস্তায় ৩৫০ টাকা হিমাগার ভাড়া নির্ধারিত ছিল। সে হিসাবে ভাড়া দেয়া লাগতো প্রতিকেজি ৫ টাকা। কিন্তু তা বৃদ্ধি করে প্রতি কেজি ৬ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। ফলে এবছর আলু উৎপাদন ও হিমাগার ভাড়াসহ প্রতি কেজির জন্য ব্যয় হচ্ছে ২৯ টাকা।বর্তমান প্রতি কেজির আলুর বাজারদর ১৫ টাকা হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। হিমাগার ভাড়া কমানো না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দিবেন বলে জানান আলু চাষিরা।
আলু চাষী ও ব্যবসায়ী মোঃ মামুন উর রশিদ বলেন, গত বছর হিমাগার ভাড়া ছিল ৫ টাকা এবছর বাড়িয়ে প্রতি কেজি হিমাগার ভাড়া করা হয়েছে ৬ টাকা ৭৫ পয়সা।এতে আমাদের মত ক্ষুদ্র চাষিরা চরম লোকসানের মুখে পড়েছে। আমরা পূর্বের মূল্যে হিমাগার ভাড়া ফিরে চাই।
আলু চাষী ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি দুলাল ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান আলী জানান, আমাদের এই দাবী কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দাবি। দাবী মানা হলে লোকসানের পরিমান কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে জানান প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন এর পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,অনান্য জেলার তুলনায় আমরা কুড়িগ্রামের আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধাসহ বাড়তি কমিশন দেই।এজন্য আমরা ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছি বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদা পারভীন বলেন, আলু চাষিরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। আগামীকাল আলু চাষী ও হিমাগার মালিকদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।