হরিনাকুন্ডুতে ৫ দফার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত
এ.এস আব্দুস সামাদঃ
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলায় জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, জাতী য় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে পিপিআর পদ্ধতি চালুসহ ৫ দফা দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় হরিনাকুন্ডু প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী হরিনাকুন্ডু উপজেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলটি আনুষ্ঠানিক ভাবে হরিণাকুন্ডু উপজেলা আমির মোঃ বাবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সেক্রেটারি ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানের,
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ঝিনাইদহ ২ আসনের মনোনীত প্রার্থী জেলা আমির আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর, সফর সঙ্গে হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল সহ হরিণাকুন্ডু পৌর আমির শফিউদ্দিন, উপজেলা নায়েবে আমির কুতুব উদ্দিন সহ কর্ম পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপজেলার একটি পৌরসভার সহ আটটি ইউনিয়নের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, অতিথিবৃন্দ তাদের মূল্যবান বক্তব্যের মধ্যে সমাবেশে যে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন, সেগুলো হলো—১- জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, ২- জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে পিপিআর (পোলিং পারসেন্টেজ রেকর্ডিং) পদ্ধতি চালু, ৩- সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিতকরণ, ৪- বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম, নির্যাতন ও গণহত্যার বিচার কার্যকর করা, ৫- শেয়ারবাজার ধসের জাতীয় পার্লামেন্টারি তদন্ত ও পূর্বে ঘোষিত ১৪ দফা কার্যকর করা। বক্তারা বর্তমান সরকারের কাছে অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের মানুষের উপর জুলুম, নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়েছে। এ সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার কার্যকর না হলে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি করেন।
এছাড়াও অতিথিদের উপস্থিতিতে উক্ত মিছিলে স্বেচ্ছাসেবকদের স্লোগান আসে এক দফা এক দাবি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, জনগণ আর প্রহসনের নির্বাচন মেনে নেবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য পিপিআর পদ্ধতি ভোট গ্রহণ। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রী কলেজে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট মিডিয়া কর্মী, গোয়েন্দা বিভাগ, ডিএসবি, পুলিশ প্রশাসন সহ সরকারি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।