August 5, 2025, 1:10 pm
শিরোনামঃ
জুলাই স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করলেন ড. ইউনূস জুলাই শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা হরিনাকুন্ডুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী “জুলাই অভ্যুত্থান দিবস” উপলক্ষে গণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন মুরাদনগরের উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও মোনাজাত দীর্ঘ ১৬ বছরের জুলুমের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ৫ আগস্ট : ড. মঈন খান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে বরগুনায় জামায়াতের গণ-মিছিল প্রধান উপদেষ্টা মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় : তারেক রহমান লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে স্ত্রীর মাথায় বন্ধুক রেখে মরদেহ ছিনতাইয়ের অভিযোগ ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৫

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে স্ত্রীর মাথায় বন্ধুক রেখে মরদেহ ছিনতাইয়ের অভিযোগ

নাজমুল হাসান (নরসিংদী)

 

নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নিহত ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পান্থশালা ফেরিঘাট এলাকায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত তাজুল ইসলাম উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ বালুচর এলাকার মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি একজন মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন।

তাজুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “আমি স্বামীর মরদেহ নিয়ে থানায় যাচ্ছিলাম, ফেরিঘাটে হানিফ মাস্টারের লোকজন আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে লাশ নিয়ে যায়। এর আগেও তারা আমার স্বামীকে গুলি করেছিল। আজ মরার পরও শান্তি দিল না।”

জানা যায়, গত ২১ জুলাই সায়দাবাদ এলাকায় হানিফ মাস্টার ও এরশাদ মিয়ার অনুসারীদের সংঘর্ষে এক নারী নিহত হন। একই দিন তাজুল ইসলামকে মারধর করে গুলি করে প্রতিপক্ষ। গুরুতর আহত তাজুলকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

সোমবার ভোরে স্ত্রী মর্জিনা খাতুন মরদেহ নিয়ে রায়পুরায় ফিরছিলেন। ফেরিঘাটে এলে প্রতিপক্ষ অস্ত্রের মুখে মরদেহ ছিনিয়ে নেয় এবং পরে সেটি গোপনে মামা সেন্টুর বাড়িতে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আত্মীয়-স্বজনরা আত্মগোপনে চলে যায়।

বাঁশগাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আতিয়ার রহমান জানান, “মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের এক পায়ে প্লাস্টার ছিল। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের জসিম উদ্দিন এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে সায়দাবাদ এলাকায় হানিফ মাস্টার ও এরশাদ মিয়া গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন আটজন। উত্তপ্ত ওই এলাকায় এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমাদের সাথেই থাকুন