July 11, 2025, 6:55 pm
শিরোনামঃ
রক্তাক্ত নিথর দেহটি রাস্তার মাঝখানে ফেলে লাশের ওপর দাঁড়িয়ে চলে ভয়াবহ উন্মত্ত উল্লাস। ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপি নেতা ফয়সাল আলীম জয়পুরহাটে বাসের জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় রক্ষা পেয়েছিল শিশু সোহানুর! কুড়িগ্রামে বৃক্ষরোপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আক্কেলপুর ট্রেন-বাস দুর্ঘটনার ১৯ বছর : স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সন্দেহে গার্মেন্টস মালিক ঘরে অবরুদ্ধ ফ্ল্যাটে ৬ মাস ধরে পড়েছিল অভিনেত্রী হুমাইরার মরদেহ গ্যাস সংকটে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ পাঁচবিবিতে বিএনপি নেতা ফয়সল আলীমের মোটর সাইকেল শোডাউন ও পথসভা অনুষ্ঠিত

রক্তাক্ত নিথর দেহটি রাস্তার মাঝখানে ফেলে লাশের ওপর দাঁড়িয়ে চলে ভয়াবহ উন্মত্ত উল্লাস।

নয়া বাংলাদেশ ডেক্স

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে কম্পাউন্ডে নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ। সেখানে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে কম্পাউন্ডের বাইরের সড়কে এনে শত শত মানুষের সামনে চলে উন্মত্ততা। ঘটনাস্থলের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে খোদ রাজধানীর পুরান ঢাকায় হত্যার পর প্রকাশ্যে উল্লাসের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সাধারন মানুষ। ঘটনার দিন বুধবার ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা। মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটক। শুক্রবার এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মহিন ও তারেকসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিন ঘটনার মূলহোতা। এছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান। শুক্রবার ডিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার বলেন, হত্যাকা-ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মহিন ও তারেক নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার সময় অদূরেই চলছিল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, নিরাপত্তায় ছিলেন আনসার ক্যাম্পের সদস্যরাও। তবে এমন সন্ত্রাস আতঙ্কে কেউ এগিয়ে আসেনি। যখন তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়, তখন চিকিৎসক জানান, আগেই মারা গেছেন সোহাগ।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুধু হত্যা করেই থেমে থাকেনি সন্ত্রাসীরা। সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরও লাশের ওপর চলতে থাকে নৃশংসতা। রক্তাক্ত নিথর দেহটি রাস্তার মাঝখানে ফেলে লাশের ওপর দাঁড়িয়ে চলে ভয়াবহ উন্মত্ত উল্লাস।সোহ একজন নয়, একাধিক যুবক মৃত ব্যক্তির নাক-মুখে এবং বুকের ওপর আঘাত করে যেতে থাকে। ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসা লোকদের মধ্যে একজন মোবাইলে কথা বলছিল। ওই সময় দুই হাত-পা ছড়িয়ে পড়ে থাকা সোহাগের রক্তাক্ত মুখের ওপর কিলঘুষি দিতে থাকে আরেকজন। অন্য এক তরুণ দৌড়ে এসে পড়ে থাকা নিথর দেহের বুকের ওপর লাফাচ্ছিল! মানুষজনও দেখছিল এমন ভয়ংকর দৃশ্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে পুরোনো বৈদ্যুতিক কেবল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। তার দোকানের নাম সোহানা মেটাল। ওই এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের ব্যবসার একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ ছিল সোহাগের কাছে। তবে নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া ছিল মাহমুদুল হাসান মহিন ও সারোয়ার হোসেন টিটু নামে আরও দুজন। তারা অনেকটা ওই অবৈধ বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। তা না হলে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তারা। এর জেরেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্বে ঘটে নৃশংস হত্যাকা-। ঘটনার দিন সোহাগকে তার দোকান থেকে ডেকে আনা হয়েছিল।নয়া বাংলাদেশ ডেক্


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেইজবুকে আমাদের সাথেই থাকুন