আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টির) কুড়িগ্রাম জেলা শাখার কর্মী যোগদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাত ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম শহরের সবুজ পাড়ার জেলা কার্যালয়ে কর্মী যোগদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সাবেক সচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।
এবি পার্টি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম খাঁন, বিশেষ অতিথি হিসেবে সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফজর আলী, অর্থ সম্পাদক পনির উদ্দিন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির শতাধিক নেতা-কর্মী।
এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, “এবি পার্টি একটি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল। কোটি কোটি কিংবা লাখ লাখ টাকার মালিক এমন কোন নেতা এই দলে নেই। এই দল কোন নেতা-কর্মীকে টাকা দিতে পারে না। এবি পার্টিতে কোন চাঁদাবাজ, দূর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ ও প্রভাবশালী নেতা নেই। যে আপনারা কোন ধরনের সুবিধা নিতে পারবেন। তবু্ও যারা নিঃস্বার্থভাবে এই দলের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। এই স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা সারাবিশ্বকে একটি ঘোষণা পত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিনটি বিষয় জানিয়ে দিয়েছে। যা আমরা এবি পার্টির মাধ্যমে এদেশে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম খাঁন বলেন, “আমরা সংসদের তিনশটি আসনে প্রার্থী দিতে চাই। এবি পার্টি নির্বাচিত হলে কুড়িগ্রামের নদীভাঙন, বন্যা সহ অনান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ নিয়ে কাজ করবে। বিশেষ করে কুড়িগ্রামের মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণে কলকারখানা নির্মাণ সহ বিভিন্ন কর্মমুখী উদ্যোগ নিয়ে কাজ করবে। জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে কাজ করবে এবি পার্টি।”
এবি পার্টির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, “জুলাই গনঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদরা আমাদেরকে আত্মত্যাগের শিক্ষা দিয়েছে। আমরা জুলাই গনঅভ্যুত্থানে লড়াই করে নিহত সকল শহীদদের জন্য দোয়া করবো ”
অনুষ্ঠান শেষে জেলার ১৫ জন ব্যক্তি ফরম পূরণের মাধ্যমে এবি পার্টিতে যোগদান করেন।