পাঁচবিবির কয়া সীমান্তের মাছচাষী আরমানের পথচলা
জয়নাল আবেদীন জয়, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে আরমান আলী সফলতা পেয়েছে মাছ চাষে। প্রথমে বাবার ছোট্ট একটি পুকুর দিয়ে মাছ চাষ শুরু করে সে। প্রায় ২০ বছর আগে থেকেই কৃষি কাজের পাশাপাশি মাছ চাষ শুরু পরেন বর্তমানে তিনি একজন সফল আদর্শ মৎস্যচাষী।
আরমান বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণদেনা করে প্রায় ৮ বিঘা জলাশয়ের মাছ চাষের উপযোগী আধুনিক মানের একটি পুকুর তৈরি করেছে। বৃষ্টির পানিতে পুকুরপাড় ভেঙ্গে না যায় এবং অতিরিক্ত পানির সাথে মাছ বেড় হয়ে ক্ষতি না হয় এজন্য জিওশিট বস্তা দিয়ে মজবুত করে পাড় বাঁধে। নিরাপত্তার স্বার্থে সে পুকুরের চারপাশ সিমেন্টের পিলার ও জিআই তার দিয়ে বেড়া দিয়েছে। পুকুরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর বেড়ায় ঝুলছে পটল, করলা, ঝিঙ্গা এবং পাড়ের চারপাশে সাড়ে ৩’শ সুপারির গাছ রোপণ সহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছে আরমান। পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে ডিঙ্গি নৌকা করে মাছের খাবার দেও সে । বিকালে অনেকেই এই নৌকায় চড়ে সময় কাটায়। এমন দৃষ্টি নন্দন আধুনিক পুকুর পাড়ে বিকালে অনেকেই সময় কাটায়।
অল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় আরমান তার পুকুরে পোনা মাছের পরিবর্তে হাঁফ কেজি ১’কেজি ওজনের প্রায় ৩০ মন মাছ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়েন। এরমধ্যে তেলাপিয়া ১৮ হাজার, রুই-কাতলা ৫ হাজার ও হাংরি ১০ হাজার পিচ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের মাছ আছে এসব পোনা মাছের দাম প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা । তিনি পুকুরের পোনা মাছগুলো দ্রুত বড় করতে প্রতিদিন ৩-৫ বস্তা খাবার খাওয়ায়। স্বল্প সুদে ঋণ ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে এমন আধুনিক মানের পুকুর আরো তৈরি করত সে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন পপি বলেন, মাছ চাষ লাভজনক হওয়ায় আরমানের মত অনেকেই একাজে এগিয়ে আসছে। দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে মৎস্য চাষীদের আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয় বলে জানান, এ মৎস্য কর্মকর্তা।