কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে আরও ৪ সেন্টিমিটার। এতে নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
প্লাবিত এলাকায় চলাচলের রাস্তা তলিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে অন্তত ২০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানিতে ডুবে গেছে ৫৭৩ হেক্টর চরের আবাদি ফসলি জমি। গবাদিপশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৮০ মিটার হলেও বর্তমানে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গেল এক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়তে থাকায় বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলোতে বাড়তি নজরদারি চলছে।
পানিবন্দি স্থানীয়রা জানান, খাবারের সংকটের পাশাপাশি অনাহারে কাটছে দিন। বন্যার পানির কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা এখনো আসেনি বলেও জানান তারা।
তবে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা শুকনো খাবার এনেছি। বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ‘পদ্মায় পানি বাড়ায় কিছুটা শঙ্কা তৈরি হলেও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকাগুলো বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’