রাজবাড়ীতে ‘নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩৫০০
জেলার গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলা’র মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত রাত ১২টার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গতকালকের ঘটনায় আমাদের ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়া আমাদের দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
রাজবাড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, শুক্রবার (৫ আগস্ট) জুমার নামাজের পর বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দের নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তখন পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় আমাদের দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গোয়ালন্দঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ আগস্ট) জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলের দরবারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরাল পাগলের ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়।
নিহত মো. রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের জুতামিস্ত্রী পাড়ার মো. আজাদ মোল্লার ছেলে। রাসেল নুরাল পাগলের দরবারের ভক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।