কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের এক মাস পর শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মো. করিম ভূঁইয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
করিম ভূঁইয়া দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রীবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের পর করিম ভূঁইয়ার স্ত্রী, দুই ছেলে তৌহিদ হোসেন ভূঁইয়া ও তামজিদ হোসেন ভূঁইয়াসহ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ওসি শামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে করিম ভূঁইয়া নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের পর তার সন্তানরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ ও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাবার সন্ধান চান তারা। কিন্তু দীর্ঘ এক মাসেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
স্থানীয়দের ধারণা, জমি বিক্রি করে ছেলেদের বিদেশে পাঠানোর জন্য করিম ভূঁইয়ার স্ত্রী ও ছেলেরা চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু করিম এতে রাজি ছিলেন না। এ বিরোধ থেকেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
তারা আরও জানান, নিখোঁজের কয়েকদিন আগে রাতে করিম ভূঁইয়ার শ্যালককে বোনের বাড়ি থেকে বস্তায় ভরে কিছু সরাতে দেখেছিলেন প্রতিবেশীরা।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে করিম ভূঁইয়ার শ্বশুরবাড়ির টয়লেটের ট্যাংক খোলা হলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি গলিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তদন্তের স্বার্থে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।