July 21, 2025, 6:03 pm
শিরোনামঃ
মুরাদনগরের সুরানন্দীতে অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা, দুটি ড্রেজার ও ২০০০ ফুট পাইপ অপসারণ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে এক দিন আগেই রহস্যময় ফেসবুক পোস্ট পোড়া শরীর নিয়ে বের হয়ে শিশুটি বলল–‘ভাইয়া আমাকে ধরো’ উত্তরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শোক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে যাত্রীবাহী বাসে হামলা, ভাঙচুর একজন গেলে আরেক জন আসে চাঁদা নিতে, বন্ধ হয়ে আছে হাসপাতালে নির্মাণ কাজ পাঁচবিবিতে সহকারী কমিশনার বেলায়েত হোসেনের হস্তক্ষেপে আবারও কোটি টাকা সম্পত্তি উদ্ধার পাঁচবিবিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অনুমোদন বিহীন ক্লিনিকে ৫০ হাজার জরিমানা নরসিংদী কাদির মোল্লা সিটি কলেজে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি জবি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

পোড়া শরীর নিয়ে বের হয়ে শিশুটি বলল–‘ভাইয়া আমাকে ধরো’

নয়া বাংলাদেশ ডেস্ক

রোবাইদা নূর আলবিরা মাইলস্টোনের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। পোড়া শরীর নিয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসে শিশুটি। আলবিরা এমন অবস্থা থেকে ওকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় একাদশ শ্রেণির ছাত্র সায়েম খান।

সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সায়েম খান বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দ। দেখি আগুন জ্বলছে। এতো আগুন যে কাছে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। এর মধ্যে একটা বাচ্চাকে এগিয়ে আসতে দেখি। আমাকে দেখে ও বলছিল–ভাইয়া আমাকে ধরো। কাছে এগিয়ে যেতেই আমার কাঁধের ওপর পড়ে যায়। ওর আইডি কার্ড আমি আমার কাছে রাখি। রিকশায় উঠে যখন হাসপাতালে রওনা দিই, তখন আরেক আন্টি বলছিলেন– বাবা আমার মেয়েকে হাসপাতালে নেও। দু’জন রিকশায় নিয়ে উত্তরায় একাধিক হাসপাতাল ঘুরতে থাকি। কোথাও তেমন চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে আলবিরাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসি।’

ঢাকা মেডিকেলে আলবিরার মা রওশন ইয়াসমিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি সমকালকে বলেন, সায়েম না বাঁচালে আমার মেয়ের কী হতো জানি না। ওকে আগে থেকে চিনি না। স্কুলের বড় ভাই হিসেবে সায়েম যে উদাহরণ তৈরি করেছে তা আমাদের পরিবারের জন্য আশর্বীদ।

ঢামেকের বার্ন ইউনিটের পঞ্চম তলায় চিকিৎসাধীন আলবিরা। শিশুটির মায়ের কাছ থেকে ‘বিদায়’ নিচ্ছিলেন সায়েম। এসময় আলবিরার স্কুলের আইডি কার্ড তার মায়ের হাতে তুলে দেন। সায়েম বললেন–‘আন্টি এখন বাসায় যাচ্ছি। আবার আলবিরার খোঁজ নিতে আসব।’ এসময় চোখের কোনা অশ্রুসিক্ত আলবিরার মায়ের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমাদের সাথেই থাকুন