কৃষিজমি রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সুরানন্দী গ্রামে আজ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অবৈধভাবে কৃষিজমি হতে ড্রেজিং করে মাটি উত্তোলনের দায়ে একজন ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে “বালুমাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০” অনুযায়ী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, অভিযানের সময় পাহাড়পুর ইউনিয়নের আরও দুইটি স্থানে অবৈধভাবে স্থাপন করা দুইটি ড্রেজার মেশিন এবং প্রায় ২০০০ ফুট পাইপ অপসারণ করা হয়। এসব ড্রেজার ও পাইপ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে কৃষিজমি থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছিল, যা ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট করছে এবং আশপাশের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠেছিল।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কৃষিজমির সুরক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “কৃষিজমি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান উৎস। কিছু ব্যক্তি ব্যক্তিগত লাভের আশায় যেভাবে কৃষিজমিকে ধ্বংস করছে, তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে যারা এ ধরনের অবৈধ ড্রেজিং ও মাটি উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং জানান, অবৈধভাবে কৃষিজমি নষ্ট করে মাটি উত্তোলনের কারণে এলাকার পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছিল। মোবাইল কোর্টের এই কার্যক্রমে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
পরিবেশ, কৃষিজমি ও জনস্বার্থ রক্ষায় মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
—