যশোরের ঝিকরগাছায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে যুবদলের এক কর্মী এবং তার বাবা ও ফুফাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। সোমবার ((২১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চান্দেরপোল মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- গুণনগর গ্রামের যুবদল কর্মী আরাফাত হোসেন লাল্টু এবং তার বাবা মোতালেব হোসেন ও ফুফাতো ভাই মামুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নীর অনুসারী লাল্টু ও রুবেলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল সাবেক আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপুর অনুসারী মিজান, সোহাগ, রশিদ ও রেজাদের। সোমবার রুবেলকে প্রতিপক্ষ ধরে নিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে যান লাল্টু। সঙ্গে ছিলেন তার বাবা মোতালেব ও ভাই মামুন। তখন প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লাল্টুর ওপর হামলা চালায়। দা ও চায়নিজ কুড়ালের আঘাতে লাল্টুর ডান হাতের কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথা ও ঘাড়ে মারাত্মক জখম হয়।
লাল্টুর দুলাভাই শাহাজান জানান, তাকে বাঁচাতে গেলে লাল্টুর বাবা ও মামুন হামলার শিকার হন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তখন আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
চিকিৎসকদের বরাতে তিনি আরও জানান, লাল্টুর হাতের কব্জি কেটে ফেলতে হতে পারে।
এলাকাবাসী জানান, লাল্টুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ বলেন, অপরাধী যেই হোক, দলে তার ঠাঁই হবে না। বিএনপি বা এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে থেকে কোনও বিশৃঙ্খলা করার উপায় নেই। আর অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিলো। এ ঘটনা এরই জের। মামলা প্রক্রিয়াধীন।