August 5, 2025, 3:35 am
শিরোনামঃ
প্রধান উপদেষ্টা মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় : তারেক রহমান লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে স্ত্রীর মাথায় বন্ধুক রেখে মরদেহ ছিনতাইয়ের অভিযোগ ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৫ বরগুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের জেলা অফিস চালু সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর রোডম্যাপের দাবিতে জবি  শিক্ষার্থীদের ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি সবুজে থাকুক পৃথিবী, সুস্থ থাকুক মানবজাতি শৈলকুপায় অবৈধ সার মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন কৃষি কর্মকর্তা : জরিমানা আদায় কুড়িগ্রামে “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নরসিংদী রেলস্টেশনে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে দুজন আটক

বিএনপিতে ২০০ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী দেড় হাজার

ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। তবে ৩০০ আসনের মধ্যে প্রায় ১০০ আসনে কারা প্রার্থী হবেন- তা অনেকটাই চূড়ান্ত। বাকি ২০০ আসনের জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দেড় হাজারেরও বেশি। প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করা বিএনপির জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে দলটির একাধিক সূত্র।

 

 

দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে এবার প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলের ত্যাগী এবং ক্লিন ইমেজের নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১০০ আসনে তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দেবে দলটি। বিএনপি সব সময় প্রতি আসনে অন্তত তিনজন করে সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করে রাখে। এখন নতুন করে সংযোজন-বিয়োজন করে অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের থেকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে সারা দেশে ৩০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। তারপর সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলে কিছু আসন ছেড়ে দেবে বিএনপি। না হলে সব আসনেই এককভাবে নির্বাচন করবে।

 

 

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সারা দেশের সব সংসদীয় আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রস্তুত। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করছে।

 

 

তিনি আরও বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই ভোটারদের মধ্যেও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বিএনপি এবার ত্যাগী এবং অধিকতর গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় নেতাদের প্রার্থী দেবে। তাই সর্বজন গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হবে।

 

 

 

সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তখন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। এরপর ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করা হয়। ২০১৮ সালে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার প্রার্থী। এখনো বিভিন্ন এলাকায় প্রতি আসনে তিন থেকে পাঁচজন প্রার্থী আছেন। এবার দলের সুবিধাজনক পরিস্থিতির কারণে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি।

 

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়। এ ঘোষণার পর সারা দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রস্তুতি আরও জোরদার করে। এলাকায় গণসংযোগের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বিএনপি হাইকমান্ডের আশীর্বাদ পেতে বিভিন্ন কৌশলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।

 

 

সরাসরি এলাকায় খোঁজখবরের পাশাপাশি এ বিষয়ে ফাইল ওয়ার্কও করা হচ্ছে। লন্ডন থেকে তারেক রহমান বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিটি সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিশেষ করে যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন এবং মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন; তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। অনেককে বিভিন্ন আসনে কাজ করার সরাসরি নির্দেশনাও দিচ্ছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এটিকে হাইকমান্ডের গ্রিন সিগন্যাল হিসেবেই ধরে নিচ্ছেন এবং নিজ এলাকায় তা প্রচার করছেন।

 

 

বিএনপির হাইকমান্ড সারা দেশে নির্বাচনি প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় দলীয় প্রার্থী করার বিষয়ে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে যারা বিগত দেড় দশকের আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে সক্রিয় ছিলেন তাদের প্রার্থী করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রার্থী হতে হবে সুশিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের। যাদের নামে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে, তাদের প্রার্থী করা হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমাদের সাথেই থাকুন