দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় : তারেক রহমান
কেয়ার নিয়োগের শতকরা ৮০ শতাংশ হবে যুবসমাজের মধ্য থেকে নারী সদস্য। একদিকে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ঘটবে অপরদিকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একটি বিখ্যাত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় কর্মসূচি খাল খনন উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা পরিচালনা করে দেখেছি, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে সরকার গঠন করতে সক্ষম হলে আমরা যেকোনমূল্যে সমগ্র দেশে শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি আবার শুরু করব। মানুষকে রক্ষায় এই খাল খনন কর্মসূচি একটি এন্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।
যুবদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের বিশ্বাস ধরে রাখুন। মনে রাখবেন, জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে আপনি নেতা। জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে আপনি নেতা নন। প্রশাসনিক সহায়তায় নেতৃত্ব হয়তো প্রদর্শন করা যায় কিন্তু জনগণ সহায়তা করলে নেতৃত্ব দেওয়া যায়। মনে রাখবেন, আপনাদের প্রতি জনগণের সমর্থন থাকার কারণেই পলাতক স্বৈরাচারের প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-যুবদলের নেতাকর্মী সমর্থকদের রাজপথ থেকে দূরে রাখতে পারে। সুতরাং আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান জনগণের আস্থায় থাকুন।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন, মানবাধিকার কর্মী সাইয়েদ আবদুল্লাহ, যুবদলের রবিউল ইসলাম নয়ন, দীর্ঘদিন গুম হয়ে থাকা অ্যাডভোকেট সোহেল রানা, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সায়েম আল মনসুর ফয়েজী, শহীদ মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে আপন, ইয়াহিয়া আলীর মেয়ে তাইয়েবা খাতুন, হাফিজুর রহমান সুমনের স্ত্রী বিধী আখতার, নাদিম মিজানের স্ত্রী তাবাসসুম আখতার নেহা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, সাইফুল আলম নীরব ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু উপস্থিত ছিলেন।