পাংশা হাসপাতালের টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ
পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি।
টেন্ডার ক্রয় প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এ বিষয়ে রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মোঃ খোকন নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীর জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালিত এমএসআর (মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকোয়েরমেন্ট) সংক্রান্ত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য অনিয়মের মধ্যে রয়েছে ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব, নির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ না করে নিম্নমানের পণ্য কেনা। অনুপযুক্ত ঠিকাদার নিয়োগ, নির্দিষ্ট যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদারকে কাজ প্রদান করা । দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এবং নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা। সর্বনিম্ন দরদাতা না হওয়া শর্তেও কাজ প্রদান। যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী।
এব্যাপারে অভিযোগকারী খোকন বলেন, সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ না করে, নিম্নমানের পণ্য ক্রয় ও অনুপযুক্ত ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে বিশেষ ব্যক্তিকে কাজ দেওয়া হয়েছে, যা সরকারি নিয়মের পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, “আমি যে লাইসেন্স দিয়ে টেন্ডারে অংশ নিয়েছিলাম, সেটি ‘ফার্স্ট লোয়েস্ট’ হওয়া সত্ত্বেও আমাকে কাজ দেওয়া হয়নি। অথচ কিসের বিনিময়ে ‘সেকেন্ড লোয়েস্ট’ দরদাতাকে কাজ দেওয়া হলো, তা আমরা জানি না। এখানে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং জনগণের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার মান নিচে নামিয়ে আনছে। এমতাবস্থায, আপনার সুদৃষ্টি ও যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. এবাদত হোসেন জানান, যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। টেন্ডারে কোন অনিয়ম করা হয়নি। প্রথম লোয়েস্ট দরদাতার কাগজপত্র ঠিক না থাকায় দ্বিতীয় জনকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
মতামত দিন