পাংশা থানার ওসি-এসআইসহ ৩ জনের নামে ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদা দাবির মামলা
পাংশা থানার ওসি-এসআইসহ ৩ জনের নামে ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদা দাবির মামলা
এক নারীকে হয়রানি, ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজবাড়ীর পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এক উপ পরিদর্শক (এসআই) সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ রোববার রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের ২৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূ এ মামলা করেন।
ওসি ও এসআই ছাড়া মামলার আরেক আসামি হলেন পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের এতেম শেখের ছেলে আরিফ হোসেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে পাংশা থানার ওসি মো. সালাউদ্দিনের নির্দেশে এসআই হিমাদ্রি হাওলাদার ও সহযোগী আরিফ হোসেন ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান। এ সময় তারা ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি করেন ও তার স্বামীকে খুঁজতে থাকেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এক পর্যায়ে গৃহবধূর স্বামীকে না পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। ওসির নির্দেশে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরে স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধূকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানায় গেলে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণসহ মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরও অভিযোগ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানিয়েছেন যেই মহিলা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তার নামে পাংশা থানায় অপহরণ মামলা রয়েছে। সেই অপহরণ মামলা থেকে বাঁচতে বা পুলিশ যেন তাকে গ্রেফতার করতে না পারে সেজন্য আমাদের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী জাহিদ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক গৃহবধূর করা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মতামত দিন